শুক্রবার ১৭ অক্টোবর ২০২৫ - ১২:০০
আজকে সমাজে লিবারেল পুরুষ 

আসলে আজকের তথাকথিত “লিবারেল” পুরুষ, নারীকে স্বাধীনতা দিতে চায় না — সে নারী পর্যন্ত পৌঁছানোর স্বাধীনতা চায়

হাওজা নিউজ এজেন্সি রিপোর্ট অনুযায়ী, নেকড়েরা একদিন ছাগলদের পক্ষ নিয়ে মিছিল বের করল।
“ছাগলদের মুক্তি দাও! তাদের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে! তাদের ঘরে বন্দি করে রাখা হয়েছে!”
একটি ছাগল এই আওয়াজ শুনে অন্য ছাগলদের বলল,
“শোনো শোনো! আমাদের অধিকারের জন্য মিছিল বের করা হচ্ছে! চলো আমরাও বের হই, আমাদের স্বাধীনতার দাবি তুলি!”
একটি বুড়ি ছাগল তখন বলল,
“বেটি, সতর্ক থাকো! এই নেকড়েরা আমাদের শত্রু। তাদের কথায় ভুলে যেও না।”
কিন্তু তরুণ ছাগলরা তার কথা শুনল না। তারা বলল,
“আরে আম্মা, আপনার সময় ছিল আলাদা। এখন আধুনিক যুগ, এখন আর কেউ কারও অধিকার কেড়ে নিতে পারে না। এরা শত্রু নয়, এরা আমাদের অধিকারের কথা বলছে!”
বুড়ি ছাগল দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলল,
“বাচ্চারা, এরা তোমাদের ধ্বংস করতে চায়। এখন তোমরা নিরাপদ আছো, কিন্তু যদি এদের ফাঁদে পা দাও, তাহলে এরা তোমাদের টুকরো টুকরো করে ফেলবে।”

বুড়ি ছাগলের এই কথা শুনে তরুণ ছাগলরা রেগে গেল এবং বলতে লাগল,
“আম্মা, তুমি তো এখন বুড়ি হয়ে গেছো, এখন আমাদের নিজের মতো করে জীবন যাপন করতে দাও। তুমি কী জানো স্বাধীনতা কী জিনিস! বাইরে নিশ্চয়ই সুন্দর মাঠ আছে, সবুজ-শ্যামল বাগান আছে, চারিদিকে আনন্দ— শুধু সুখই আর সুখ! তুমি তোমার উপদেশ নিজের কাছেই রাখো, আমরা আর এই বন্দিত্ব সহ্য করতে পারি না!”
এ কথা বলে সব ছাগল “স্বাধীনতা! স্বাধীনতা!” বলে স্লোগান দিতে লাগল এবং অনশন শুরু করল।
যখন রাখাল এই অবস্থা দেখল, তখন বাধ্য হয়ে তাদের দড়ি খুলে মুক্ত করে দিল।
ছাগলরা আনন্দে আত্মহারা হয়ে গেল, লাফাতে লাফাতে, চিৎকার করতে করতে বাইরে ছুটে গেল।

কিন্তু হায়! কী হলো?
নেকড়েরা তো তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ল এবং সেই নিরীহ ছাগলদের টুকরো টুকরো করে ফেলল।
আজ যারা “নারীর অধিকার” নিয়ে চিৎকার করে বেড়াচ্ছে, তারা আসলে নারীর অধিকার নয়, নারীর কাছে পৌঁছানোর স্বাধীনতা চায়।
তারা সেই নিরীহ প্রাণগুলোর রক্তের পিপাসু, তাদের নারীর সম্মান বা অধিকারের কোনো চিন্তা নেই, আছে কেবল নিজেদের নোংরা কামনার চিন্তা।
হায়, যদি কেউ বুঝত!
আসলে আজকের তথাকথিত “লিবারেল” পুরুষ, নারীকে স্বাধীনতা দিতে চায় না — সে নারী পর্যন্ত পৌঁছানোর স্বাধীনতা চায়…

আপনার কমেন্ট

You are replying to: .
captcha